পেট্রোলিয়ামের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির ফলে মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশই। আমেরিকাতেও বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন বাড়াতে রাজি হচ্ছে না তেলের বড় রপ্তানিকারক সংস্থাগুলি। এরই মধ্যে এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল সৌদি আরব।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব স্পষ্ট জানিয়ে দিল যে তেলের দাম নিয়ন্ত্রনে কোনও পদক্ষেপই নেবে না তারা। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের দাবি, ‘তেলের কোনও ঘাটতিই নেই বিশ্বজুড়ে। তাহলে কীসের ভিত্তিতে বাড়ানো হবে অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন? ‘
বিসনেস ইনসাইডারের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান মঙ্গলবার ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বলেন, ‘আমরা যতদূর অবধি জানি তেলের কোনও ঘাটতি নেই। এই ব্যাপারে সৌদি আরব যা কিছু করতে পারত ইতিমধ্যেই তার সব কিছুই করেছে।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বিশ্বজুড়ে রাতারাতি বৃদ্ধি পায় তেলের দাম। রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় রাশিয়ার তেলের উপর। যার কারণেই বিশ্ববাজারে দেখা দেয় তেলের বড়সড় ঘাটতি।
অপরিশোধিত তেলের দাম গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পায় ৭০%। এরই মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট জানালেন যে কোনও মতেই তেলের উৎপাদন বাড়াবে না তাঁর দেশ।
তেলের এই বিপুল পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধির ফলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে ভারত, আমেরিকার মতন দেশগুলিতেও। যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিল মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৮.৩%। ওই একই সময়ে ভারতে এই হার ছিল ৭.৮%।
পরবর্তীতে আরও গুরুতর আকার ধারণ করবে এই মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতি এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের। গ্রীষ্মে তেলের চাহিদা আরও বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্ব জুড়ে মন্দা দেখা দিতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন আইইএ-এর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরলও।